প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় মিছিলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, এতে উভর গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
অপারেশন ডেবিল হান্ট কে স্বাগত জানিয়ে এবং শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্র দলের সভাপতি রাজিবের নেতৃত্বে (রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় সরকারী ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে দাগনভূঞা বাজরে উঠতে চাইলে ছাত্র দলের আরেকটি পক্ষ বাধা প্রদান করলে সংঘর্ষ বাধে।
দুপুর ১ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সেনাবাহিনী সহ প্রশাসন ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই বিষয়ে ছাত্র দলের দাগনভূঞা উপজেলা সভাপতি রাজিব সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আমরা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্র দলের ব্যানারে মিছিল নিয়ে বাজারে উঠতে চাইলে ফেনী জেলা ছাত্র দলের সহ-সভাপতি কাজী ফটিকের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হেলমেট পরে, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোঠা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় এতে আমাদের ছাত্র দলের প্রায় ৫০ জন নেতা কর্মি মারাত্মক আহত হয়। তিনি সাংবাদিক দের প্রশ্ন করে বলেন ফটিক কে কি দাগনভূঞা বিএনপির রাজনীতির লিজ দেয়া হয়েছে? সে কেন আমাদের কর্মসূচিতে বার বার হামলা করবে?
রাজিব আরো বলেন ফটিক একজন সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ অনেক অপকর্মের প্রমান আছে। সে কি করে বিএনপির মত দলের রাজনীতি করেন? আমরা অবিলম্বে এই অপরাধীর শাস্তি চাই। না হলে দাগনভূঞা উপজেলায় কোন অঘটন ঘটলো তার দায় দায়িত্ব কাজী ফটিক কে নিতে হবে।
উল্লেখ্য গত ৭ তারিখ শুক্রবার ভিপি ইমামের নেতৃত্বে জেলা যুবদলের কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করতে চাইলে সেখানেও কাজী ফটিক বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় কাজী ফটিক বলেন আমি সকাল থেকে দাগনভূঞায়ার বাইরে ছিলাম। সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসি। এবং নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করি। কে বা কারা মিছিল করছে আমি জানি না। আমার কোন গ্রুপ নেই আমি যুবদলের একজন সাধারন কর্মি। আপনারা সাংবাদিক রা দয়া করে কাজী ফটিকের গ্রুপ বলে অপ প্রচার করবেন না। আমি কোন অপকর্মের সাথে নেই।
নিত্য দিনের হামলা, পাল্টা হামলা, কোন্দল, গ্রুপিং ঘটনায় প্রশাসন নিরব কেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে সোনাগাজী - দাগনভূঞা এসপি সার্কেল তসলিম উদ্দিন জানান আমরা কোন ভাবেই নিরব নই। সব সময় বাজারের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের টিম মজুত থাকে। এটা রাজনৈতিক ইস্যু, রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা এগিয়ে এসে এই বিষয়ে সমাধান না করলে আমরা কি করতে পারি?
তবে জনগনের জান- মালের নিরাপত্তার আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যদি জন নিরাপত্তায় হুমকি হয়ে দাড়ায় সে যে দলের বা মতেরই হউক না কেন আমরা ছাড় দিবো না।
এসব ঘটনায় প্রতিদিন ই বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, ব্যাবসা বানিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। ক্রেতা বিক্রেতারা আতংকিত অবস্থায় রয়েছেন।
অনেকে মনে করছেন এভাবে চলতে থাকলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে।